কিভাবে আপনার ফেসবুক আইডিকে নিরাপত্তা দিবেন?
ফেসবুক আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটা অপরিহার্য অংশ হয়ে দাড়িয়েছে, যেখানে প্রতিনিয়ত আমাদের বন্ধু-বান্ধব এবং সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ, এবং নিজেদের একটি এক্সটেনশন তৈরি করছি। সহজ কথায়, আমাদের ফেসবুক প্রোফাইলটি আমাদের নিজেরদের বাহ্যিক একটা রেপ্লিকা, আর আপনার এই ফেসবুক একাউন্টটি যদি হ্যাক করা হয়, এটি আমাদের কাছে কতটা সেন্সেটিভ হয়ে দাঁড়াবে!
প্রতিদিন একবেলা ফেসবুক, মেসেঞ্জার। উহু! না হলে চলেই না!
তো এখন কি আপনার উচিত নয় এই সেন্সেটিভ রেপ্লিকা টির প্রটেকশন নিশ্চিত করা? তো চলুন যে সব বিষয়ে আমাদের নজর না দিলেই নয়।
কিভাবে ফেসবুকের নিরাপত্তা দিবেন?
নিচের কিছু স্টেপ আমি দেখিয়েছি, যা মেনে চললে আপনার ফেসবুক আইডি অনেকাংশেই নিরাপদে থাকবে। চলুন দেখে নেয়া যাক কি কি স্টেপস!
❏ পাসওয়ার্ড প্রটেকশন
একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করুন। আপনার পাসওয়ার্ড কখনই আপনার নাম, জন্ম তারিখ, পোষা প্রাণী বা সাধারণ শব্দগুলি এড়িয়ে চলুন।
❔ পাসওয়ার্ড প্রটেকশন কেন প্রয়োজন?
কারন ফেসবুকে লগ ইন করতে ইমেইল, ফোন নাম্বার আর পাসওয়ার্ডের প্রয়োজন। আপনার ফোন নাম্বার, ইমেইল একজনের জানা খুব কঠিন কিছু না। পরিচিত যে কারও কাছেই এগুলো থাকবে। এখন আপনার পাসওয়ার্ড যদি হয় ০১১৮১৯৯৬, বা ১২৩৪৫৬, ৬৫৪৩২১ বা আপনার খুব কমন কিছু, যেগুলো আপনার ফেসবুক পোষ্ট বা মেসেঞ্জারে বা কারো সাথে কথা বলার সময় ইউস করে থাকেন, তো এটা কি ফেসবুক হ্যাক করার জন্য সহজ না?
এমন পাসওয়ার্ড দিন, যেটি আপনার মনে রাখতেই আপনি হিমসিম খাবেন। পাসওয়ার্ডে নাম্বার+এলফাবেট+কিবোর্ডের আজগুবি চিহ্ন গুলো দিয়ে দিন। পাসওয়ার্ড মিক্স করে দিবেন তত ভালো।
ধরুন আপনার পাসওয়ার্ডঃ ABde12 (এখানে ৬টা কেরেক্টার আছে)
ধরুন আপনার ইমেইলঃ abcde@gmail.com
এটা কি হ্যাক করতে পারবে?উত্তরঃ হা পারবে, কিন্তু সময় লাগবে।
❏ পাসওয়ার্ড কিভাবে হ্যাক হয়?
পাসওয়ার্ড ভাঙ্গার অনেক প্রোগ্রাম আছে, আমরা সেগুলার নাম বা রিপো দিচ্ছিনা, তবে ধরুন, কোন একটা প্রোগ্রাম কে বলা হলো,
"⚠ তুমি A-Z, a-z, 1-0 এ যতগুলো ক্যারেক্টার আছে সবগুলো চেক কর, পরিচিত শব্দগুলোও চেক কর, সর্বোচ্চ ক্যারেক্টার যেন ৬ টা হয়। সাথে বলা হলো, প্রতিটা পাসওয়ার্ড যেন, facebook.com/login.php সার্ভারে গিয়ে ইনপুট করা হয়। লগ ইন হয়ে গেলে যেন জানানো হয়।"
✔ facebook.com/login.php হলো ফেসবুক লগ ইন পেজ।
প্রোগামটি কাজ করা শুরু করল,▧ পাসওয়ার্ডঃ AAaa11,... AAba11,... AAab11,..., ABdd12,... ABde12.....✔ Program Result=Found: ABde12
তো এখন কত সময় লাগবে আপনার পাসওয়ার্ড পেতে?
১ঘন্টা? ২ঘন্টা? ১০ঘন্টা?
এটা নির্ভর করবে যে প্রোগ্রামটি কত ফাস্ট! যে কম্পিউটারে প্রোগ্রাম টি চলছে সেটি কত দ্রুত কাজ করতে পারে!
⚠ যেকোন একটি ভালো সিপিউ সম্বলিত কম্পিউটারে এই পাসওয়ার্ডটি পেতে সর্বোচ্চ ২-৩ ঘন্টা সময় লাগবে!
❔ এখন বলতে পারেন, তাহলে তো যেমন ই পাসওয়ার্ড ই দেই না কেন, হ্যাক ত হবেই।
♺ হা হবেই। শুধু সময়ের ব্যাপার। যত ছোট পাসওয়ার্ড তত দ্রুত হ্যাক!
❝ আপনার কি-বোর্ডে যে কয়টা চিহ্ন আছে, সবার কাছে সেই কয়টাই চিহ্ন আছে। আপনি কি-বোর্ড দিয়ে আপনার পাসওয়ার্ড দিয়েছেন, যে হ্যাক করবে তার কি-বোর্ডেও তো সমান বাটন, তো পাসওয়ার্ড ত হ্যাক করা কঠিন কিছু না। শুধু সময়ের ব্যাপার। ❞
❔ ফেসবুক আইডিকে নিরাপত্তা দিতে এখন আপনার কি করনীয়?
✔ আপনি মানুষ টা যত ছোটই হোন না কেন, আপনার পাসওয়ার্ড যে মুটামুটি বড় সাইজ হয়।
✔ অবশ্যই আনকমন।
✔ এই পাসওয়ার্ড আপনি পৃথিবীর আর কোথাও ইউস করবেন না।
✔ কমন শব্দ ইউস করবেন না।
✔ এমন কোথাও লিখে রাখবেন না, যেখানে অন্য কারোও নজরে পড়ে।
✔ যে ব্রাউজার দিয়ে লগ ইন করবেন, সেখানে পাসওয়ার্ড দেয়ার পর পর সেভ করতে বলে, এটা ভুলেও করবে না, ব্রাউজারের প্রটেকশন দিতে পারেন তা হলে আলাদা কথা।
✔ যার তার মোবাইল, কম্পিউটার পেলেই আপনার ফেসবুকে লগিন করে রাখবেন না।
✔ সেভ করে রাখার জন্য মেসেঞ্জারে কাওকে মেসেজ দিয়ে রাখবেন না
✔ বিশ্বস্ত হলেই কারো সাথে পাসওয়ার্ড শেয়ার করতে যাবেন না, যার সাথে শেয়ার করবেন, সে যে নিজের ডিভাইস নিরাপত্তা দিতে পারবে, তা কি আপনি নিশ্চিত? যদি নিশ্চিত হোন, সেটা ভিন্ন বিষয়।
এবার,পাসওয়ার্ড তো দিলাম, 123ffser*~7(*&*($Y|}*{_$$U*(#(|#Y^@এটি ভাঙতে একটি সুপার কম্পিটারের সময় লাগবে, ১০,০০০ সেঞ্চুরির বেশি।
❔ এখন কি আমার একাউন্ট নিরাপদ?
👊 উত্তরঃ আপনি কেবল হ্যাকিং থেকে রক্ষা পেতে একটা ধাপ শক্ত করলেন।
▨ আর কতগুলো ধাপ আছে, আপনি জানেন? না জানলে চলুন জেনে নেই।
◈ সবার আগে, আপই এই লিংকে ঢুকুনঃ https://www.facebook.com/privacy/checkup/?source=settings_and_privacy
এখানে ঢুকেই দেখতে পাবেন, বেশ কিছু Privacy Checkup সেকশন। আপনি একটা একটা করে প্রেস করতে থাকুন, আর ফেসবুক আপনাকে বলে দিবে আপনার আইডির সুরক্ষার জন্য আপনাকে আর কি কি করতে হবে।
❏ ফেসবুকে লগিন এলার্ট Login alert
এই লিংকে বা facebook settings>Security and login>Get alerts about unrecognized logins এ গিয়ে এটি চালু করে দিন।
❔ ফেসবুকে লগিন এলার্ট কেন চালু করবেন?
এটি চালু করলে, যে ই আপনার ফেসবুকে লগ ইন করবে , সাথে সাথে আপনার কাছে ইমেইল, মেসেজ, বা ফেসবুকে জানিয়ে দিবে। আপনি দেখার সাথে সাথে ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
❏ ফেসবুকে Two step verification চালু করুন
নতুন নিয়মে আপনার ফেইসবুক আইডিকে অবশ্যই এই সিকিউরিটি সিস্টেমটি চালু থাকা লাগবে। না হলে আইডি চালানোয় সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রথমে আপনার ফেসবুকে ঢুকুন, তারপর Settings>Security and login>Use two-factor authentication এ যান, অথবা সরাসরি এই লিংকে যেতে পারেন,
এখানে বেশ কিছু অপশন পাবেন,
✔ Text message (SMS)
✔ Authentication App
✔ Recovery Codes
✔ Security Key
ভিডিও আকারে এই বিষয়টি বুঝার জন্য নিচের ভিডিওটে দেখতে পারেনঃ
চলুন এই বিষয় গুলোর বিস্তারিত জেনে নেই,
✯ Text message (SMS)
এটি চালু করতে হলে আপনাকে আপনার ফোন নাম্বার দিয়ে সেট আপ করতে হবে, ফোন নাম্বার দেয়ার সাথে সাথে আপনার নাম্বারে একটি কোড যাবে, কোড দিয়ে দিয়ে ভেরিফাই করে নিলেই কাজ শেষ।
এখন আপনি যখন কোন ডিভাইস থেকে লগ ইন করতে চাইবেন, আপনার ইমেইল/ফোন নাম্বার আর পাসওয়ার্ড দেয়ার পর বলবে আপনার সিকিউরিটি কোড প্রবেশ করান। আপনাকে তখনই ফেসবুক থেকে sms দিয়ে কোড আপনার নাম্বারে পাঠিয়ে দেয়া হবে, প্রতিবার লগ ইন করতে গেলেই নতুন নতুন কোড দেয়া হবে আপনাকে।
এই সিস্টেম টি ভালো, কিন্তু কিছু সমস্যা ও আছে, আপনি যে সিম টি ইউস করছেন সেটির অপারেটরের কাছে ফেসবুক থেকে মেসেজ আসবে, তারপর আপনার সিমের অপারেটর আপনাকে মেসেজ পাঠাবে, মানে দুইটা মাধ্যম পার হয়ে আপনার কাছে আসবে, এখানে কিছুটা সময় লেগে যেতে পারে, তাই এই সিস্টেম ইউস না করাই ভালো। আর ধরুন আপনার সিমে আজকে নেটওয়ার্ক নেই বা সিম টি আপনার সাথে নেই, বা সিম টি ক্লোন করে কেউ ইউজ করছে। তখন কি করবেন? আপনার ইচ্ছা।
✯ Authentication App
এটি আমার অতি প্রিয় একটি সিস্টেম, আমি নিজেও এটি ইউজ করি। এর জন্য প্রথমে আপনার একটি app লাগবে, PlayStore বা AppStore এ গিয়ে সার্চ দিলেই পাবেন।
> Google Authenticator
প্রথমে পিসি থেকে https://www.facebook.com/security/2fac/settings লিংকে যান, এরপর Code generator এ গিয়ে third-party app এ ক্লিক করুন, এরপর আপনাকে একটা QR Code দেখাবে, আর এর নিচেই পাবেন Secret key, এখন আপনার কাজ হলো আপনার মোবাইলে install করা Google Authenticator app টিতে ঢুকে BEGIN এ প্রেস করুন, এরপর skip, এরপর scan a barcode, এরপর ফেসবুকের কোড টি scan করে নিন। আপনি চাইলে Enter a provided key তে গিয়ে Secret key টাও লিখে দিতে পারেন।
✯ Recovery Codes
এই অপশনে প্রেস করলে আপনি ১০ টি ইউনিক কোড পাবেন। যা ভবিষ্যতে কখনো আইডির একসেস হারালে এই কোডগুলো দুঃসময়ের বন্ধু হিসেবে কাজ করবে।
✯ Security Keys
এটি চালু করলে আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু কোড দেয়া হবে, এর জন্য আপনার পিসিতে লগ ইন করে, উক্ত সেটিংসে গিয়ে সেট আপ করতে হবে, এজন্য আপনাকে একটি পেনড্রাইভ বা USB Drive পিসিতে ঢুকিয়ে Add key এ প্রেস করতে হবে।
✯ Bonus: Facebook app
Facebook এপটিতে ঢুকে সেটিংস বার এ যান। নিচের দিকে স্ক্রোলিং করুন, দেখবেন Code Generator অপশন পাবেন। জাস্ট ক্লিক ক্রুন এখানে, দেখবেন কোড দেখাচ্ছে, প্রতি ৬০সেকেন্ড পর পর এই কোড চেঞ্জ হবে।
যখন আপনি নতুন কোন ডিভাইস থেকে লগ ইন করতে চাইবেন, আপনার ইমেইল/ফোন নাম্বার আর পাসওয়ার্ড দেয়ার পর বলবে আপনার সিকিউরিটি কোড প্রবেশ করান। তখন আপনার এই ফেসবুক এপে এসে, Code Generator অপশনে আসতে হবে। তখন যে কোড টি দেখাবে, সাথে সাথে সেই কোড টি এনটার করে লগ ইন করতে হবে।
❔ ফেসবুকে Two step verification কেন চালু করবেন?
আপনি যখন লগ ইন করতে চাইবেন, আপনার পাসওয়ার্ড দেয়ার পর, একটি কোড যাবে আপনার কাছে, (মেসেজ, ইমেইল, Facebook app, Authentication app)
এই কোড দেয়ার পর আপনি facebook এ ঢুকতে পারবেন। যতবার নতুন নতুন ডিভাইস, কুকিস থেকে লগ ইন করবেন, ততবার নতুন নতুন কোড যাবে।
সো, আপনার পাসওয়ার্ড কেউ জানলেও লগ ইন করা কষ্টকর হয়ে যাবে।
❏ ফেসবুকে Choose Trusted Contacts চালু করুন
এখন ধরুন এতকিছু করার পরেও হ্যাকারের কোন একটা ফাঁদে আপনি পা দিয়ে ফেললেন, আপনার একাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলো। অথবা ধরুন, আপনার আইডি হুট করে একদিন, ভেরিফিকেশনে পড়ে গেলো, কেউ হয়তো রিপোর্ট করেছে, অথবা আপনি কোন উলটা পালটা কিছু করেছেন।
কমেন্ট ভেরিফিকেশন, আইডি কার্ড বা ফটো ভেরিফিকেশনে পরে গেলো। হয়তোবা আপনার ভূল কিছুর কারনে আইডিকে একসেস ই বন্ধ হয়ে গেলো। একেবারে মাথা নষ্ট! কি করবেন এখন?
আপনার পাঁচ হাজার বন্ধুদের মাঝে ত ৫-৬জন আছে যাকে আপনি নিজের চেয়েও বেশি বিশ্বাস করেন! আছে না?
আপনার মা, বাবা, ভাই, বোন, বা আপনার হাসব্যন্ড বা ওয়াইফ!
হা, তাদের Trusted Contacts লিস্টে এড করে দিন। এখন যদি আপনার ফেসবুক হ্যাক হয়, এদের আইডি দিয়ে ফেসবুকে রিকোয়েস্ট করলে আপনার আইডি ফিরে পাবেন।
Review Your Browsers and Apps
আপনি গত এক মাসে ১০ টা ডিভাইস দিয়ে আপনার ফেসবুকে ঢুকেছিলেন, এখন সেই ১০টার মাঝে
৫টা ডিভাইস আপনি কাউকে দিয়ে দিয়েছেন। আপনি কি জানেন, আপনি যখনই ফেসবুকে লগ ইন করবেন, আপনার ডিভাইসের আইপি এড্রেস আর লোকেশন ফেসবুক সেভ করে রাখে, আপনি চাইলে পরবর্তীতে অইসব ডিভাইস থেকে আপনার আইডি তে ঢুকতে পারবেন।
তো আপনার কি উচিত নয়, আগের ডিভাইস গুলোর আইপি আর লোকেশন মুছে দেয়া?
হা, এটা করা উচিত। কারন ডিভাইস টি আপনার হাতে নেই।
এই লিংকে বা facebook settings>Security and login>Where you're logged in
এ গিয়ে আগের লগিন করা ডিভাইস গুলো ডিলেট করে দিন।
অপরিচিত দের না জেনে ফ্রেন্ড লিস্টে এড করবেন নাআপনার কাছে অনেক ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসে। আপনি কয়জন কে চিনেন?আগে তার সম্পর্কে জেনে নিন, বিশ্বাস যোগ্য?
ফেসবুক প্রাইভেসি সেটিংস
এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
অথবা, facebook settings>Privacy Settings and Tools
▣ Who can see your future posts?
আপনার পোষ্ট গুলো কে কে দেখবে?
✔ আপনার ইচ্ছা।
▣ Who can see your friends list?
আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে কে কে আছে, এটা কারা দেখতে পারবে?
✔ only me করে রাখুন।
▣ Review all your posts and things you're tagged in?
✔ এটা চালু করে রাখুন। যে ই আপনাকে কিছু ট্যাগ করবে, আপনার পারমিশন ছাড়া আপনার প্রোফাইলে আসবে না।
▣ Who can contact me?
✔ আপনার ইচ্ছা।
▣Who can send you friend requests?
আপনাকে কে কে ফ্রেন্ড রিকুইয়েস্ট দিতে পারবে?
✔ Friends of Friends
▣ Who can look you up using the email address you provided?
আপনার ইমেইল দিয়ে সার্চ দিলে আপনার আইডি পেয়ে যাবে, এটা কার কার সাথে সেয়ার করবেন?
✔ Only me
▣ Who can look you up using the phone number you provided?
আপনার ফোন নাম্বার দিয়ে সার্চ দিলে আপনার আইডি পেয়ে যাবে, এটা কার কার সাথে সেয়ার করবেন?
✔ আপনার ইচ্ছা। Only me রাখা ভালো।
▣ Do you want search engines outside of Facebook to link to your Profile?
Google, Bing, Yahoo এর মত সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে সার্চ দিলে আপনার আইডি পাওয়া যাবে, এটা কি চালু করতে চান?
✔ আপনার ইচ্ছা।
▣ People with your phone number
✔ Message requests
▣ Friends of friends on Facebook
✔ Message requests
▣ Accounts you follow or have chatted with on Instagram
✔ Message requests
▣ Your followers on Instagram
✔ Message requests
▣ Others on Facebook
✔ Message requests
▣ Others on Instagram
✔ Message requests
❏ ফেসবুক নিউজ ফিড
ফেসবুকে অনেক পেজ, গ্রুপ, ফ্রেন্ড্ররা অনেক কিছুই সেয়ার করে। দেখবেন অনেকেই লিংক দিয়ে দেয়, নিজেদের বা ভিন্ন কোন ওয়েবসাইটের লিংক, যেমনঃ
খবরের জন্য পোষ্ট পেলেন, সাথে সাথে ক্লিক করে ফেললেন। লিংক টা কি আপনার পরিচিত? বিশ্বাসযোগ্য? যদি না জেনে ক্লিক করেন?
❔ এতে কি হয়?
আপনি লিংকে গিয়ে নিউজ পড়লেন, কিন্তু এক পর্যায়ে আপনাকে দেখানো হলো, আপনাকে এখানে ক্লিক করে কিছু ডাওনলোড করতে হবে, এটা ওটা ইনস্টল করতে হবে, অথবা যদি সে ওয়েবসাইটে এমন কিছু স্ক্রিপ্টেড থাকে, যা আপনার ব্রাওজারের অটো পপআপ, অটোডাওনলোড, এমনকি কোন হিডেন স্ক্রিপ্ট আপনার ব্রাউজারের সব কুকিজ নিয়ে নিল। তাহলে আপনি কি নিশ্চিত আপনি এমন কোন সাইটে যাচ্ছেন না?
❔ কুকিজ কি?
আপনার ব্রাওজার বা এপস বা ডিভাইল লগ এর ডেটা, যেখানে আপনার সকল ইনফরমেশন থাকে, সাথে আপনার পাসওয়ার্ড এবং লগ ইন ইনফরমেশন গুলোও থাকে।
সো, ফেসবুক নিউজ ফিডে যা পাবেন, নিশ্চিত না হয়ে তাতেই ক্লিক করে বসবেন না। খুব সাবধান!
❏ ফেসবুকের ওয়েব এড্ড্রেস
☞ facebook.com
☞ fb.com
☞ mbasic.facebook.com
☞ touch.facebook.com
☞ messenger.com
☞ developer.facebook.com
☞ ads.facebook.com
☞ facebook.com/marketplace
আর বাকি যা আছে,
সব এমনঃ
☞ xxxx.facebook.com
xxxx এখানে অনেক কিছুই আছে, এগুলোকে বলে sub domain । এসব বেশিরভাগ facebook developer ও marketer দের জন্য, আপনি যদি সাধারন facebook ইউজার হোন, তাহলে, এই চারটি লিংক ছাড়া আর কোন লিংকে যাবেন নাঃ
☞ facebook.com
☞ fb.com
☞ mbasic.facebook.com
☞ touch.facebook.com
☞ messenger.com
এখন আপনাকে আপনার এক ফেসবুক ফ্রেন্ড একটা লিংক দিলঃ
✘ faaaaceeeebooook. *com
বলল ফেসবুকের নতুন লিংক, বা এমন কিছু, যা আপনি বিশ্বাস করতে বাধ্য। আর আপনি না বুঝে ক্লিক করে দেখলেন, ফেসবুক!
log in করতে বলতেছে।
ভুলেও এইসব লিংকে যাবেন না। বা ফেসবুক ভেবে পাসওয়ার্ড দিয়ে বসবেন না।
এইসব ওয়েবসাইট পুরো ফেসবুকে কপি। এদের বলা হয় "Phishing"
আপনাকে বোকা বানিয়ে আপনার account এর পাসওয়ার্ড নিয়ে নিবে।
* এমন কিছু দেখলে, রিপোর্ট অপশন চালু আছে, ফেসবুকে রিপোর্ট করে দিবেন।
ইমেইল বা এসএমএস লিংক
আপনার কাছে কোন মেসেজ বা ইমেই আসলো, বলা হলো আপনার ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক হয়েছে, রিকোভার করতে এই লিংকে যান।
এসব ক্ষেত্রে দেখবেন কোথা থেকে ইমেইল বা মেসেজ টি এসেছে?
ফেসবুকের ইমেইলঃ
No | Status | |
---|---|---|
1 | platformcs@support.facebook.com | should work |
2 | appeals@facebook.com | does not work anymore |
3 | domain@fb.com | blocked |
4 | helpdesk@fb.com | blocked |
5 | press@fb.com | should work |
6 | advertise@fb.com | should work |
7 | ip@fb.com | should work |
8 | records@facebook.com | should work |
9 | subpoena@facebook.com | should work |
10 | datarequests@fb.com | verified |
11 | stickers@fb.com | verified |
12 | info@facebook.com | does not work anymore |
13 | warning@facebook.com | does not work anymore |
14 | login@facebook.com | does not work anymore |
15 | disabled@facebook.com | does not work anymore |
16 | privacy@facebook.com | does not work anymore |
17 | support@facebook.com | working |
18 | noreply@facebookmail.com | working |
19 | notification+zj426s0z6c0c@facebookmail.com | working |
20 | security@facebookmail.com | working |
21 | info@facebook.com | working |
22 | notification@facebookmail.com | working |
ফেসবুকের মেসেজ নাম্বারঃ 32655
যদি উপরের কোনটা হয়, trust করতে পারেন। কিন্তু ভিন্ন কিছু হলে ignore করুন।
প্রিটেনডিং রিপোর্ট - Pretending Report
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে প্রচলিত শব্দ এটি! প্রিটেনডিং রিপোর্ট। এর মাধ্যমে যে কারোও আইডি হ্যাক করে ফেলা যাচ্ছে! যদিও এই অপশন টি চালু করা হয়েছে ফেসবুকের নিরাপত্তার জন্য, কিন্তু সাধারণ মানুষ এটা না জানার জন্য, নিজেরাই বিপদে পড়ে যাচ্ছে। চলুন জেনে নেই এটি আসলে কি?
❝ ধরুন আপনার আইডি যেকোন ভাবেই হোক কেউ হ্যাক করে ফেলল! হ্যাক করে আইডির পাসওয়ার্ড, ইমেইল, ফোন নাম্বার, ট্রাস্টেড কন্ট্রাক্ট সব অবশন চেঞ্জ করে দিয়েছে হ্যাকার। আপনার হাতে এখন কোন ওয়ে নেই আপনার আইডি ফিরে পাওয়ার। কি করবেন আপনি? ফেসবুকে রিকোভারি অপশন টাও ট্রাই করে দেখেছেন, কিন্তু আইডি ত আর ফিরে আসে না! এখন একটাই উপায় আপনি জানেন, তা হলো, অনেক অনেক রিপোর্ট করে, সেই আইডি পার্মানেন্ট ডিজেবল করে দেয়া! কিন্তু এটা কি কোন সলুউসান হলো? আপনার ত আইডি ফিরে পেতে হবে। ❞
যাইহোক, এরপরও ফেসবুক আপনার জন্য একটা অপশন চালু রেখে দিয়েছে। যাকে বলে প্রিটেনডিং রিপোর্ট। যার সাহায্যে আপনার সেই আইডি ফিরে পাবেন।
◈ চলুন তাহলে শুরু করা যাক,
✯ একটা আইডি খুলুন, নতুন আইডি। হ্যাক হওয়া আইডি থেকে একটু পুরাতন আইডি থাকলে সেটি অনেক ভালো কাজে দেয়। তবে নতুন আইডিতেও হবে।
আপনার হ্যাক হওয়া আইডির নামে, পুরো ক্লোণ, নাম(পাসপোর্টে যেমন রয়েছে তেমন দিবেন), বয়স, প্রো-পিক। আপলোড করা আগের প্রোফাইল পিক(আইডির মালিকের পিক) এই আইডিতেও অনলি মি প্রাইভেসি করে আপলোড দিয়ে ফেলুন। নতুন আইডির বয়স ১দিন বা ২৪ঘন্টা হতে দিন। আইডি টি সর্বোচ্চ প্রটেকশন দিয়ে ফেলুন উপরে যা যা বলা হয়েছে সেভাবে। ফ্রেন্ড বানিয়ে ফেলুন ১০ বা তারও বেশি, যে ফ্রেন্ড গুলো আগের হ্যাক হওয়া আইডিতে ছিল। কয়েক জন ট্রাস্টেড ফ্রেন্ড কে ট্রাস্টেড কন্ট্রাক লিস্টে এড করে ফেলুন। এবার কিছু ডকুমেন্ট এবং রিকোয়েরমেন্ট লাগবে।
পাসপোর্ট বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড এবং তা ভালো স্ক্যানার দিয়ে একটি এইচডি স্ক্যান করে ফেলুন।
মাঝে মাঝে আইডি কার্ড দিয়ে হয়না, তাই তখন পাসপোর্ট ছাড়া উপায় থাকেনা।
তাই পাসপোর্ট হলে আইডি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
★ নতুন আইডির নাম যেন আপনার পাসপোর্ট বা আইডি কার্ডের সাথে দাড়ি কমা সহ ঠিক থাকে।
পুরাতন আইডির নাম আর নতুন আইডির নাম এক না হলেও হবে, তবে বয়স যেন ঠিক থাকে।
নতুন আইডি পুরাতন আইডি এবং আপনার পাসপোর্ট বা আইডি কার্ডের বয়স যেন একই থাকে। যদি হ্যাক করার পর পুরাতন আইডির বয়স চেঞ্জ করে ফেলে তাহলে কোন টেনশন নেই।
আবার বলছি পাসপোর্ট বা আইডি কার্ডের বয়স এবং আইডির দেয়া বয়স একই হতে হবে।
✯ এবার চলুন মাঠে নামি।
আপনার পরিচিত বন্ধুদের (৫ থেকে ১০জন) আইডি থেকে এবং নতুন খোলা আইডি থেকে, আপনার হ্যাক হওয়া আইডিতে ভিসিট করুন। হ্যাক হওয়া আইডির নিচের স্ক্রিনশটের মত
"Pretending report & Friends (এটা করবেন বন্ধুদের আইডি থেকে, Choose করতে বলবেন আপনার নতুন আইডি)" করুন, এবং Report to facebook করে সেন্ড করে দিন।
"Pretending report & ME (এটা করবেন নিজের নতুন আইডি থেকে)" করুন, এবং Report to facebook করে সেন্ড করে দিন।
Done করে বেরিয়ে আসুন। আইডিকে ব্লক করবেন না, Hide all from .... এটাও করবেন না। just report to facebook করে বেরিয়ে আসুন। এভাবে বন্ধুদের বেশ কিছু আইডি থেকে রিপোর্ট দিন।
📌 একই কাজ করুন এই লিংক থেকেঃ https://www.facebook.com/help/contact/169486816475808
এরকম আরোও কিছু লিংক, যা আপনার লাগতে পারেঃ
📌 আইডি ডিসেবল হয়ে গেলে, এই লিংকে যানঃ
📌 আইডি পুনঃউদ্ধার করতে চাইলে এই লিংকে যানঃ
📌 কোন ফেইক একাউন্ট রিমুভ করতে চাইলে, এই লিংকে যানঃ
📌 কপিরাইট রিপোর্ট করে কোন আইডি মুছে দিতে চাইলে, এই লিংকে যানঃ
এবার ৮ থেকে ৩৬ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। এর মাঝেই আপনার নতুন খোলা আইডি টি বন্ধ হয়ে যাবে। ভয় পাবেন না। এটাই ঠিক আছে। আবার আবার লগ ইন করুন আপনার নতুন খোলা আইডি তে,
❂ দেখাবে, Your ID is temporary disable অথবা এমন কিছু। যাইহোক আপনাকে ভেরিফাই করতে বলবে। আপনার কাজ হলো যা যা বলবে স্টেপ বাই স্টেপ ফলো করা। এবং বলবে আপনার ভেরিফিকেশন এর জন্য আপনার ডকুমেন্টস আপলোড করুন। এবার আপনার পাসপোর্টের স্ক্যান কপি আপলোড করে দিন। সব কিছু যা যা বলে, ঠিক ঠাক মত করে সাবমিট দিয়ে এবার একটা ঘুম দিন। আবার ৮ থেকে ৩৬ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। এর মাঝেই আপনি আপনার পুরাতন আইডি ফিরে পেয়ে যাবেন এবং নতুন আইডি ডিলেট হয়ে যাবে।
ভিডিও দেখতে চাইলে এখানে যেতে পারেনঃ Click to Watch
অন্যান্য বিষয়ে সতর্কতা
✔ ফ্রি wifi পেলেই কানেক্ট করে বসবেন না।
- যদি কানেক্ট করতেই হয়, কানেক্ট করার আগে বিশ্বস্ত ও নিরাপদ কোন VPN APP চালু করে নিন।
✔ ফেসবুকের অনেক মোডেড এপ আছে, সেগুলো ভুলেও ইউস করবেন না।
✔ ফেসবুক এপ শুধুমাত্র প্লে-স্টোর বা এপ স্টোর থেকে ডাওনলোড করবেন।
✔ সন্দেহ জনক কিছু দেখলে রিপোর্ট করুন।
✔ কারো কাছ থেকে ফেসবুক নিয়ে ইউস করবেন না।
✔ গুগলে অনেক আজাইরা জিনিস আছে, দেখেশুনে একসেস করবেন।
✔ দুইটি ব্রাওজার রাখুন আপনার ডিভাইসে, একটি দিয়ে আপনার সোসাল সাইট গুলো সার্ফিং করুন, এই ব্রাওজার দিয়ে ভুলেও আউল-ফাউল লিংকে যাবে না, ২য় ব্রাওজার টি আপনার দৈনিন্দিন সার্চের জন্য রাখুন।
⚠ উপরের সকল কাজ গুলো নতুন কোন ডিভাইস থেকে করতে যাবেন না, যার ফেসবুক আইডি তার ব্যবহৃত মোবাইল বা পিসি থেকেই কেবল এই কাজ গুলো চেষ্টা করবেন। আর হ্যা, আপনার যে ডিভাইস থেকে সর্বশেষ লগিন ছিল, সে ডিভাইস থেকেই চেষ্টা করুন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন